ঢাকা: সার্চ কমিটির মাধ্যমেই নিরাবাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
রোববার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল চত্বরে ‘শহীদ ডা. শামসুল আলম মিলনের ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এ কথা জানান তিনি।
নাসিম বলেন, সার্চ কমিটির মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। আর আইন অনুযায়ী এটা দেখভাল করবেন রাষ্ট্রপতি। ইতোমধ্যে বিএনপি এটা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা বলছে যা মোটেও সঠিক নয়। অনেক ঝামেলা করেছেন এবার ঝামেলা বন্ধ করেন। আগে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে দেন তারপর ইসি নিয়ে সমালোচনা করবেন।
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশের যে সংবিধান রয়েছে সেটা মেনেই নির্বাচন হবে। বিশ্বের সব দেশেই সংবিধান মেনে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও তাই হবে। আওয়ামী লীগ সরকারকে নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে আর দরকার নেই।
২০১৯ সালের একদিন আগেও দেশে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গ্রাম-গঞ্জে চিকিৎসকের সংকট নেই। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর গ্রাম-গঞ্জে চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমরা কিছুদিনের মধ্যে ১০ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে।
তারা রাজধানীসহ সারা দেশে মানুষের সেবা দেবে। এছাড়া মেডিকেল শিক্ষার মান আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। শুধু তাই নয়, যেসব মেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান নিম্ন সেসব মেডিকেল কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। কেননা ভালো চিকিৎসক না থাকলে রোগী মারা যাবে।
চিকিৎসা সুরক্ষায় নতুন আইন করা হচ্ছে জানিয়ে নাসিম বলেন, দেশের চিকিৎসা খাতকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করতে নতুন আইন করা হচ্ছে। যে আইনের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবার বিভিন্ন ত্রুটি চিহ্নিত করা হবে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন হবে।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রহুল হক বলেন, চিকিৎসা সেক্টরকে আজ বাণিজ্যিকীকরণ করা হয়েছে। চিকিৎসক সমাজ আজ বড়ই স্বার্থপর। তারা নিজেদের স্বার্থ ছাড়া আজ কোনো কিছুই বোঝেন না। যেখানে চিকিৎসকদের এক হাতে হাত রেখে কাজ করা উচিত সেখানে আজ তারা সেবা বাদ দিয়ে স্বার্থের পিছনে ঘুরছেন। এই অবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। স্বাস্থ্য খাতকে উন্নত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। কিন্তু সরকার কাজ করবে আর চিকিৎসকরা সেবা দেবে না সেটা হবে না।
বিএমএ’র সাবেক মহাসচিব ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, এরশাদ সরকার স্বাস্থ্য সেক্টরকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করেছিলো। কিন্তু স্বৈরাচার সরকারের সে ইচ্ছা পূরণ হয়নি। ’৯০তে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় যাওয়ার পর একটি মেডিকেল কলেজ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সেটাও হয়নি। অতঃপর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশে অনেক মেডিকেল কলেজ হয়েছে এবং কাজ চলছে। চিকিৎসা সেবার মানও ভালো হয়েছে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, শহীদ ডা. শামসুল আলম মিলনের মা সেলিনা আক্তার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. কামরুল হাসান খান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. শফিকুল হক, বিএমএ’র মহাসচিব ডা. ইকবাল আর্সালান, সহ-সভাপতি ডা. রউফ সরদার, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. উত্তম বড়ুয়া, জাসদের সভাপতি শহীদ নুরুল আম্বিয়া ও জাসদ নেতা ডা. মুস্তাক হোসেন প্রমুখ।